
ইউক্রেনে আক্রমণ সত্ত্বেও রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আগের মতোই বন্ধুত্বপূর্ণ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পার্লামেন্টে দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি এ কথা বলেন। খবর এএফপির
ইউক্রেন যুদ্ধ ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে এ বক্তব্য দিলেন মীনাক্ষী।
এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে ভারত। এই সময়ে ভারতের সীমান্তে চীনা শক্তির পুনরুত্থান ঘটেছে। যদিও চীনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া ভারতের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধ অনেক হিসাব–নিকাশ বদলে দিয়েছে। ভারত হলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ একমাত্র বড় দেশ, যারা ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়ার নিন্দা করেনি, কোনো নিষেধাজ্ঞাও দেয়নি।
তবে আজ পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেন, ভারত অবিলম্বে লড়াই বন্ধ করে কূটনৈতিক তৎপরতা ও সংলাপে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয় দেশের সঙ্গেই ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মীনাক্ষী মন্তব্য করেন, ভারতের সঙ্গে বড় দুই দেশের সম্পর্ক তাদের ‘মেরিট’ অনুযায়ীই চলছে।
চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ভারত হলো কোয়াডের একমাত্র সদস্য, যারা রাশিয়া নিয়ে কথা বলতে কোথাও একটা ‘দ্বিধায়’ ভুগছে। কোয়াড হলো যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত—এই চার দেশের অনানুষ্ঠানিক জোট।
এই সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের একজন কূটনীতিক দিল্লি সফর করেছেন। তখন তিনি বলেন, রাশিয়া–নির্ভরতা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে আরও সেনা সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে।
রাইফেল থেকে রকেট, সেনা সরঞ্জামের ৬০ শতাংশই রাশিয়া থেকে আমদানি করে ভারত। বিশ্লেষকদের মতে, একই মানের অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায় রাশিয়ায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন